শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়ন থেকে অপহৃত যুবক আবদুল খালেক অবশেষে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে স্বজনদের মাঝে ফিরে এসেছে। ৩ জানুয়ারী বিকাল ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় গিরিঞ্জি পাহাড় এলাকায়। জানা যায়, এদিন অপহৃতদের অপহরণকারীরা আবদুল খালেকের মাকে কল দিয়ে মুক্তিপণ নেওয়ার স্থান নির্ধারণ করে দিয়ে ঐ স্থানে টাকাগুলো রেখে আসলে সাড়ে ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়। তবে রামু থানার পুলিশ ৩দিন ধরে একজন ব্যক্তি অপহরণ হওয়ার পরও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাজার হাজার মানুষ পুলিশের প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে রামু উপজেলার রশিদ নগর ইউনিয়নের পুর্বে জুইল্লার জোম এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। অপহৃত যুবক স্থানীয় কাহাতিয়া পাড়ার মৃত ছুরুত আলমের পুত্র আবদুল খালেক (২২)। ঐদিন অপহৃত খালেক তার চাচা জাফর আলমের খামারের মহিষ চারন করতে যায় জুইল্লার জোম এলাকায়। এ সময় মুখোশ পরিহিত ৬/৭ জনের অপহরনকারী দল তাকে ধরে জঙ্গলে নিয়ে যায়।পরে তার স্বজনদের কাছে কল করে অপহরনের বিষয়টি জানালে এলাকায় চাউর হয়। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরপরই তার ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে পরিবারের কাছে ফোন করে দেড় লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। শেষ পর্যন্ত ৫০ হাজার টাকা দাবী করলে পরিশোধ করতে রাজি হয় অপহৃতের পরিবার। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার পরও থানা পুলিশ রহস্যজনক ভূমিকা পালন করায় পুলিশের প্রতি অনাস্থা এসেছে সাধারণ জনগণের মাঝে। উল্লেখ্য,গত জুমাবার পাশ্ববর্তী ঈদগাঁও কালির ছড়া গিরিঞ্জি পাহাড় এলাকায় গুলি বর্ষন করে দুই ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেয়।